২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১ ফাল্গুন ১৪৩১, ২৪ শাবান ১৪৪৬
`

বিশাল বিমানবাহী রণতরী নির্মাণ চীনের, উদ্বেগে যুক্তরাষ্ট্রসহ অনেকে

বিশাল বিমানবাহী রণতরী নির্মাণ চীনের, উদ্বেগে যুক্তরাষ্ট্রসহ অনেকে - ছবি : সংগৃহীত

একটি উপগ্রহ চিত্র। আর তা-ই আপাতত ঘুম কেড়েছে অনেক দেশের। সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের হাতে আসা সেই ছবিতে দেখা গেছে, সাংহাইয়ের কাছে জিয়াংনান জাহাজ নির্মাণকেন্দ্রে একটি বিশাল যুদ্ধবিমান বহনকারী রণতরী তৈরি করছে চীন। ছবিগুলো গত মাসের। কিন্তু বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, এত বড় রণতরী তাদের কাছে আগে ছিল না। ওই নির্মাণকেন্দ্রের ছবি দেখে আরো বোঝা যাচ্ছে যে, শুধু ওই যুদ্ধবিমানবাহী রণতরীটিই নয়, একাধিক যুদ্ধজাহাজ তৈরির প্রস্তুতি চলছে। সরকারিভাবে অবশ্য বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ বেইজিং।

আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক সংস্থা সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ (সিএসআইএস)–এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে আগামী এক বছরের মধ্যেই বিমানবহনকারী যুদ্ধজাহাজটি তৈরি হয়ে যাবে। জাহাজ নির্মাণকেন্দ্রের পাশাপাশি ইয়াংজ়ে নদীর পাশে একটি বিরাট বন্দরও নতুন করে তৈরি করা হচ্ছে। একটি ছোট ভেঙে পড়া বন্দরের পাশে যা চোখে পড়ার মতো। সব দেখে-শুনে অনেকেই মনে করছেন, খুব শিগগিরই নিজেদের নৌবহরে নতুন পালক যোগ করতে চলেছে চীন।
সিএসআইএসের এক বিশেষজ্ঞ জানালেন, বন্দর আর জাহাজ নির্মাণের কাজ যেভাবে একই সঙ্গে দ্রুত গতিতে এগোচ্ছে, তা দেখে এটা স্পষ্ট যে নিজেদের নৌবাহিনী নিঃশব্দে ঢেলে সাজাতে চাইছে বেইজিং। বিষয়টি নিয়ে এখনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি মার্কিন প্রশাসন। তবে পূর্ব এশিয়ায় তাদের নৌবাহিনীর যে আধিপত্য রয়েছে, তা আর বেশি দিন থাকবে না ভেবে রীতিমতো আশঙ্কায় রয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন।

ওয়াশিংটনের চিন্তার আরো কারণ রয়েছে। তাইওয়ানের সঙ্গে সদ্য সম্পর্ক ছিন্ন করেছে সলোমন আইল্যান্ডস। আর সেই সুযোগে দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় এই দেশটির একটি আস্ত দ্বীপ লিজ় নিল চীনের একটি সংস্থা। কূটনীতিকরা যাকে গোটা প্রশান্ত মহাসাগর এলাকায় চীনের আধিপত্য বিস্তারের একটি অন্যতম প্রচেষ্টা বলে মনে করছেন।

চীনের সঙ্গে তাইওয়ানের সম্পর্ক একেবারে তলানিতে। সেই তাইওয়ানের সঙ্গে এত দিন ভালো সম্পর্ক ছিল সলোমন আইল্যান্ডসের। খুব সম্প্রতি তাইপেইয়ের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক খারাপের দিকে যায়। আর তার পরে গত মাসে সলোমন আইল্যান্ডসের প্রধানমন্ত্রী মানাসে সোগাভারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করেন চীনা প্রধানমন্ত্রী লি খ্যছিয়াং। একটি ফাঁস হওয়া তথ্যে জানা গেছে, গত কাল চায়না স্যাম নামে একটি চীনের সংস্থা সলোমন আইল্যান্ডসের টুলাগি দ্বীপটি লিজ় নেয়। এই টুলাগিতে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ে জাপানের নৌঘাঁটি ছিল।

বেইজিং সরকারিভাবে ওই দ্বীপে মাছের প্রজনন ও নানা ধরনের পরিকাঠামোগত উন্নয়নের কথা বললেও কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরে প্রভাব বিস্তারই তাদের পাখির চোখ।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা


আরো সংবাদ



premium cement
পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ, মধ্যরাতে প্রেস ব্রিফিংয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বনশ্রীতে স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে গুলি করে ‘২০০ ভরি’ স্বর্ণালঙ্কার ছিনতাই পাঠ্যবই মুদ্রণে সফল ৩৫ প্রতিষ্ঠানকে এনসিটিবির সংবর্ধনা অপারেশন ডেভিল হান্টে আরো ৫৮৫ জন গ্রেফতার সেনা অফিসারদের হত্যার ষড়যন্ত্রকারীদের বিচারের দাবিতে সমাবেশ দেশের আকাশসীমায় সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সর্বদা সচেষ্ট : বিমান বাহিনী রমজানে কোনো নিত্য পণ্যের দাম বাড়বে না : অর্থ উপদেষ্টা নতুন গবেষণা ইনস্টিটিউটের আত্মপ্রকাশ মিরসরাইয়ে উদয়ন মেধাবৃত্তি পরীক্ষার পুরস্কার বিতরণ সম্পন্ন নাহিদের পদত্যাগের গুঞ্জন নিয়ে যা জানা গেল জার্মান নির্বাচন : বুথ ফেরত জরিপে এগিয়ে সিডিইউ

সকল