এবার রাজধানী সরাচ্ছে থাইল্যান্ড
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ০১ অক্টোবর ২০১৯, ১০:০৩

থাইল্যান্ড সম্ভবত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আরেকটি দেশ যারা তাদের রাজধানী স্থানান্তর করতে যাচ্ছে। কেননা দেশটির প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ চান-ও-চা ঘোষণা দিয়েছেন দেশের রাজধানী বাংকক থেকে অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হবে, যা বাস্তবায়নের সম্ভাবনা রয়েছে তার সরকারের অধীনেই।
প্রতিবেশী মিয়ানমার ও ইন্দোনেশিয়ার দেখাদেখি উৎসাহিত হয়েই তারা রাজধানী স্থানান্তরের এমন সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে। মিয়ানমার ২০০৬ সালে তাদের রাজধানী ইয়াঙ্গুন থেকে সরিয়ে নেপিডোতে স্থানান্তর করে। আর ইন্দোনেশিয়া জাকার্তা থেকে সরিয়ে বোর্নিও দ্বীপকে রাজধানী করার ঘোষণা দিয়েছে।
মূলত ঘনবসতি, পরিবেশ দূষণ ও যানজটের মতো নগর জীবনের বহুমাত্রিক সমস্যা মোকাবেলার লক্ষ্যেই দেশগুলো তাদের রাজধানী স্থানান্তর করছে কিংবা করার ঘোষণা দিচ্ছে। রাজধানী অন্যত্র সরিয়ে নিলে ব্যাংককেরও এসব সমস্যা থেকে খানিকটা মুক্তি মিলবে। তাই থাইল্যান্ড সরকারের এমন পদক্ষেপ।
ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তার মতোই ব্যাংককেও মানুষের বসতি এখন অস্বাভাবিক। এ ছাড়াও দূষণ, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, ভয়াবহ যানজটের মতো আরো নানান সমস্যার সম্মুখীন শহরটি। তাই সাবেক সেনাপ্রধান ও থাইল্যান্ডের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী এমন ঘোষণা দিয়েছেন।
গত ১৮ সেপ্টেম্বর এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পদক্ষেপটি বাস্তবায়নের জন্য দুটি উপায়ের সন্ধান করতে হবে। প্রথমটি হলো এমন কোনো শহর খোঁজা, যা বেশি দূরে নয় এবং যেখানে রাজধানী স্থানান্তরের খরচ কম হবে। দ্বিতীয় যে উপায়টির কথা তিনি বলেছেন সেটি হলো, ব্যাংককের শহরতলীগুলোকে অর্থাৎ ব্যাংককের আশপাশের যে এলাকাগুলো আছে সেগুলোতে সরকারি ভবনসহ অন্যান্য প্রশাসনিক কার্যক্রম স্থানান্তর করা। যাতে মূল শহরে মানুষের সমাগম কম হলে যানজটসহ আরো অনেক সমস্যা কমে আসবে। সূত্র : গার্ডিয়ান।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা