যুক্তরাষ্ট্রকে পরিণতির হুঁশিয়ারি চীনের
- রয়টার্স
- ২৬ আগস্ট ২০১৯, ০৯:৫০
চীন থেকে আমদানি করা ৫৫ হাজার কোটি ডলারের পণ্যে ওয়াশিংটনের অতিরিক্ত আরো ৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের তীব্র বিরোধিতা করেছে বেইজিং। তা ছাড়া যুক্তরাষ্ট্র যদি তার ‘ভুল পদক্ষেপ’ বন্ধ না করে তবে তার পরিণতি সম্পর্কে সতর্ক করে দিয়েছে চীন।
ওয়াশিংটনের আগের আরোপ করা শুল্কের প্রতিক্রিয়ায় শুক্রবার বেইজিং সাড়ে সাত হাজার কোটি ডলারের মার্কিন আমদানি পণ্যে শুল্ক বসানোর কয়েক ঘণ্টা পর শুক্রবার ট্রাম্প চীনা পণ্যে ৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় শনিবার এ বিবৃতি দেয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, এ জাতীয় একতরফা ও কর্তৃত্বমূলক বাণিজ্যিক সুরক্ষাবাদ এবং কঠোর চাপ প্রয়োগ চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ দুই নেতার মধ্যে হওয়া চুক্তিকে অবমাননার শামিল। এটি পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সুবিধার নীতিকে লঙ্ঘন করে এবং বহুপক্ষীয় বাণিজ্য ব্যবস্থা এবং সাধারণ আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ব্যবস্থাকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে। চীনের জনগণের লক্ষ্যকে অবমূল্যায়ন এবং পরিস্থিতির ভুল বিচার না করার জন্য জোরালোভাবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে।
যুক্তরাষ্ট্রে প্রাথমিকভাবে চীনের যে ২৫ হাজার কোটি ডলারের পণ্যে ২৫ শতাংশ শুল্ক কার্যকর আছে, তা ১ অক্টোবর থেকে বেড়ে ৩০ শতাংশ হবে বলে টুইটারে জানান ট্রাম্প। বাকি ৩০ হাজার কোটি ডলারের পণ্যে শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে বেড়ে হবে ১৫ শতাংশ। এসব পণ্যের অর্ধেকে শুল্ক বসবে ১ সেপ্টেম্বর থেকে, ডিসেম্বরের মাঝামাঝি থেকে কার্যকর হবে পরের অর্ধেকে। উল্লেখ্য ১ অক্টোবর হচ্ছে গণচীন প্রতিষ্ঠার ৭০ বছরপূর্তি।
শুক্রবার ধারাবাহিক কয়েকটি টুইটে চীনকে চোর আখ্যায়িত করেন ট্রাম্প। মার্কিন প্রতিষ্ঠানগুলোকে চীন থেকে সরে আসার আহ্বান জানান তিনি। ট্রাম্প জানান, বাণিজ্যে চীনকে দরকার নেই যুক্তরাষ্ট্রের। ট্রাম্পের ওই সব টুইটের পরপরই মার্কিন পণ্যের ওপর শুল্কারোপ করে চীন। আর এর কিছুক্ষণ পর চীনা পণ্যে শুল্কারোপের কথা জানান ট্রাম্প।
দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য যুদ্ধ অবসানের জন্য আলোচনা চলছে। তবে এখনো কোনো সুরাহা হয়নি। আগামী সেপ্টেম্বরে ফের আলোচনায় বসার কথা রয়েছে তাদের। তবে বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় বৈঠকটি না হওয়ার আশঙ্কা করছেন অনেকে।