বিরোধপূর্ণ দক্ষিণ চীন সাগরে ইঙ্গ-মার্কিন যৌথ নৌমহড়া
- রয়টার্স
- ১৬ জানুয়ারি ২০১৯, ২০:৫৪
বিরোধপূর্ণ দক্ষিণ চীন সাগরের দ্বীপে চীন সামরিক ঘাঁটি স্থাপন করার পর প্রথমবারের মতো সেখানে যৌথ সামরিক মহড়া চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেন। বেইজিংয়ের ওপর চাপ অব্যাহত রাখতে মিত্রদের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের সাহায্য চাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতেই এই মহড়া অনুষ্ঠিত হয় বলে গতকাল বুধবার দুই দেশের নৌবাহিনী এ কথা জানিয়েছে।
মার্কিন নৌবাহিনী এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাধারণ নিরাপত্তা অগ্রাধিকারগুলো চিহ্নিত করার জন্য গত শুক্রবার ছয় দিনব্যাপী এ মহড়া শুরু হয়। এ মহড়ায় জাপানে অবস্থিত মার্কিন ঘাঁটিতে অবস্থান করা ডেস্ট্রয়ার ইউএসএস ম্যাকক্যাম্পবেল এবং এশিয়া সফরে আসা ব্রিটেনের রাজকীয় নৌবাহিনীর ফ্রিগেট এইচএমএস আর্গিল অংশ নেয়। তারা যোগাযোগসহ বিভিন্ন ধরনের মহড়া চালায়। মার্কিন নৌবাহিনীর মুখপাত্র জানান, সাম্প্রতিক সময়ে, বিশেষ করে দক্ষিণ চীন সাগরে এ দুই দেশের একসাথে মহড়া চালানোর কোনো ইতিহাস নেই। তিনি আরো বলেন, ২০১০ সাল থেকে দুই দেশের কোনো যৌথ মহড়া অনুষ্ঠিত হয়নি।
দক্ষিণ চীন সাগরের প্যারাসেল দ্বীপপুঞ্জের কাছে ২২ হাজার টনের ব্রিটিশ যুদ্ধজাহাজ এইচএমএস অ্যালবিয়ন নোঙ্গর করার পরই এ মহড়া অনুষ্ঠিত হয়। চীন গত আগস্টে এ দ্বীপটি নিজেদের বলে দাবি করে। অ্যালবিয়নের এ পদক্ষেপের মাধ্যমেই ব্রিটেন প্রথমবারের মতো বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এই নৌরুটটিতে চীনের অব্যাহত নিয়ন্ত্রণ বৃদ্ধির বিষয়টি চ্যালেঞ্জ করল। এর পরপরই যুক্তরাষ্ট্র জানায়, তারা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এ ধরনের আরো মহড়ায় অংশগ্রহণ দেখতে চায়। চীন এক্ষেত্রে লন্ডনকে প্ররোচনা দেয়ার জন্য অভিযুক্ত করেছে।
ইউএসএস ম্যাকক্যাম্পবেল এ মাসে ওই দ্বীপপুঞ্জের ১২ নটিক্যাল মাইলের ভেতর দিয়ে যাত্রা করে। মার্কিন নৌবাহিনী এটিকে ‘অতিরিক্ত সামুদ্রিক দাবি প্রতি চ্যালেঞ্জ’ বলে আখ্যা দিয়েছিল। দক্ষিণ চীন সাগরের এ রুট দিয়ে বছরে তিন লাখ কোটি ডলারের নৌবাণিজ্য পরিচালিত হয়ে থাকে। ব্রুনাই, মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন, তাইওয়ান ও ভিয়েতনাম রুটটি নিয়ে আপত্তি করলেও চীন এটি নিয়ন্ত্রণের দাবি করে। তবে এখানে যুক্তরাষ্ট্র বা ব্রিটেনের কোনো আঞ্চলিক দাবি নেই।
গত বছর প্রকাশিত কিছু ছবিতে চীনের ওই সব দ্বীপে ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র বা জাহাজবিধ্বংসী ক্রুজ মিসাইলের উপস্থিতি দেখা যায়। এছাড়া চীনের বিমানবাহিনী তাদের মহড়ার অংশ হিসেবে ওই দ্বীপে বোমারু বিমানও অবতরণ করায়।