যে অভিযোগে অপসারণ করা হলো তুরিনকে
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১১ নভেম্বর ২০১৯, ১৫:০৯, আপডেট: ১১ নভেম্বর ২০১৯, ১৫:১৮
পেশাগত অসদাচরণ, শৃঙ্খলা ও আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে প্রসিকিউটর ড. তুরিন আফরোজকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সকল মামলার কার্যক্রম থেকে অপসারণ করা হয়েছে।
যুদ্ধাপরাধ মামলার এক আসামির সাথে গোপন বৈঠকের ঘটনায় তাকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর পদ থেকে আইনজীবী তুরিন আফরোজকে অপসারণ করেছে সরকার। সোমবার আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে সাংবাদিকদের এই তথ্য জানানো হয়েছে।
তুরিনে বিরুদ্ধে অভিযোগ, ‘তাকে মানবতাবিরোধী অপরাধের আসামি ওয়াহিদুল হকের বিরুদ্ধে করা মামলা পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়। এরপর প্রসিকিউটর তুরিন ওই আসামির সাথে দেখা করেন এবং আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানার আদেশ রয়েছে জানিয়ে তাকে পালিয়ে যেতে বলেন। এছাড়া, এ বিষয়ে ওয়াহিদুল হকের কাছে প্রসিকিউটর তুরিন মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করেন।’
গতবছর এপ্রিলে অভিযোগ ওঠে, মামলা পরিচালনার দায়িত্ব পাওয়ার পর ২০১৭ সালের নভেম্বরে ওয়াহিদুল হককে ফোন করে কথা বলেন তুরিন। পরে পরিচয় গোপন করে ঢাকার একটি হোটেলে তার সঙ্গে দেখাও করেন।
ওই অভিযোগ ওঠার পর প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে ওয়াহিদুল ও তুরিনের কথোপকথনের রেকর্ড ও বৈঠকের অডিওরেকর্ডসহ যাবতীয় ‘তথ্য-প্রমাণ’ আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। ট্রাইব্যুনালের সব মামলা থেকে সরিয়ে নেওয়া হয় তুরিনকে।
পরে বিষয়টি ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার নজরে এলে প্রসিকিউটর তুরিনকে এ মামলা থেকে প্রাথমিকভাবে অব্যাহতি দেন ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর। পাশাপাশি এ ঘটনার তদন্ত শুরু হয়। তদন্ত চলা অবস্থায় ট্রাইব্যুনালের অন্যান্য মামলা (তার হাতে থাকা) থেকেও তুরিনকে অব্যাহতি দেন চিফ প্রসিকিউটর। একইসঙ্গে তুরিনের বিরুদ্ধে অভিযোগের যাবতীয় তথ্য-উপাত্ত আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়।
আইন মন্ত্রণালয় ট্রাইবুনাল থেকে তাকে অপসারণ করে সোমবার।