১০ জানুয়ারি ২০২৫, ২৬ পৌষ ১৪৩১, ৯ রজব ১৪৪৬
`

বিমান ছিনতাইকারীর হাতে ছিল খেলনা পিস্তল

নিহত বিমান ছিনতাইকারী, ইনসেটে ছিনতাইয়ের শিকার বিমানটি - সংগৃহীত

খেলনা পিস্তল হাতেই বিমান ছিনতাইয়ের নাটক করেছিল ছিনতাইকারী, রোববার রাতে এমনটাই জানিয়েছে পুলিশ। তাকে হত্যার মাধ্যমে ছিনতাই ঘটনার অবসান ঘটে।

চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দুই ঘণ্টার ছিনতাই ঘটনার অবসানের পর রোববার রাতে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ মাহবুবার রহমান সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “তার কাছে যে অস্ত্রটি পাওয়া গেছে এটা ফেইক, খেলনা পিস্তল।”

পরে বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলীও রাতে এক টেলিভিশন অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে বলেন, ওই পিস্তলটি ছিল খেলনা।

চট্টগ্রাম হয়ে দুবাইগামী বিমানের ফ্লাইটটি বিকালে ঢাকা থেকে রওনা হওয়ার পর মাঝ আকাশে অস্ত্রধারী ওই যুবক যাত্রীদের ভয় দেখানোর পাশাপাশি ক্রুদের পণবন্দি করেন।

বিবিসির খবরে বলা হয়, রাত সোয়া সাতটার দিকে সেনা কম্যান্ডোদের অভিযানে সন্দেহভাজন ছিনতাইকারীকে আহত অবস্থায় আটক করা হয়। পরে সে মারা যায়।

চট্রগ্রামে সেনানিবাসের জিওসি মে. জে. মতিউর রহমান সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, বিমানের ভেতরে অভিযান চালানোর সময় ঔ ব্যক্তিকে নিবৃত করার চেষ্টা করা হয়। ঐ ব্যক্তি আত্মসমর্পনে অস্বীকৃতি জানালে গুলি চালানো হয়। পরে তার মৃত্যু হয়েছে।

জে. রহমান জানান, লে. কর্নেল ইমরুলের নেতৃত্বে একটি সেনা কম্যান্ডো দল মাত্র আট মিনিটে অভিযান শেষ করে। তিনি জানান, এই কম্যান্ডো দলটিই ঢাকায় হলি আর্টিজান সন্ত্রাসী হামলার মোকাবেলায় অভিযান পরিচালনা করেছিল।

জে. রহমান জানান, নিহত যাত্রীটি বলেছিল, তার নাম মাহাদি। সে প্রধানমন্ত্রীএবং তার স্ত্রীর সাথে কথা বলতে চেয়েছিল।

সকল যাত্রী ও ক্রু সুস্থ রয়েছেন বলে কর্মকর্তারা বলছেন।

চট্টগামে বিমানটি অবতরণের পর প্রায় দেড় শ' যাত্রীর সবাই এবং পাইলট ও ক্রুরা সবাই নেমে আসার পর একমাত্র ছিনতাইকারীকে ধরতে শুরু হয় সামরিক বাহিনীর কমান্ডোদের অভিযান। তাতে নিহত হন ওই যুবক।

এই ঘটনার পর একটি সংবাদ সম্মেলনে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল নাইম হাসান সাংবাদিকদের বলেন, ''কথিত ছিনতাইকারী ব্যক্তিকে আহত অবস্থায় আটক করা হয়েছে। তার কাছে একটি অস্ত্র ছিল এবং বুকে বোমা বাঁধা থাকতে পারে। সেরকম তার বাধা রয়েছে।''

''তিনি পাইলটের মাথায় অস্ত্র ধরে দাবি করেছিলেন যে, তার স্ত্রীর সঙ্গে সমস্যা নিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিলেন।''

বিকাল পাঁচটার দিকে ওই ঘটনা শুরুর পর থেকেই বিমানটি ঘিরে রেখেছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। তাদের সঙ্গে সেনা কমান্ডো ও বিমান বাহিনীর সদস্যরাও যোগ দেন।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত সাংবাদিকরা জানিয়েছে, সাতটার পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বিমানে অভিযান শুরু করেন।

রাত আটটা থেকে বিমানবন্দর আবার খুলে দেয়া হয়েছে।

এর আগে বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ মহিবুল হক বিবিসিকে বলেছিলেন, বিমানটি জরুরি অবতরণের পর পাইলট ও বেশিরভাগ যাত্রীকে বের করে আনা হয়। তবে একজন ক্রু ও সন্দেহভাজন যাত্রী ভেতরে রয়েছে। তার সঙ্গে আলোচনা চলছে।

তবে তাদের সাথে কী আলোচনা চলছে সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাতে পারেননি হক।


আরো সংবাদ



premium cement
মাইনাস টু ফর্মুলার আশা কখনো পূরণ হবে না : আমীর খসরু বিক্ষোভের মাঝে মাদুরোর তৃতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণ সিরিয়ার কোনো অংশ দখলের ইচ্ছা নেই তুরস্কের : পররাষ্ট্রমন্ত্রী ট্রাম্পের গ্রিনল্যান্ড দখলের হুমকি চীনের জন্য সতর্কতা : মেলোনি সিরিয়ায় একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সরকার প্রতিষ্ঠার ওপর পাকিস্তানের গুরুত্বারোপ সহ-সমন্বয়ক রাফির নামে বিকাশে অস্বাভাবিক লেনদেনের তথ্যটি ভুয়া ইয়েমেনের হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করতে সক্ষম নয় ইসরাইল : হাউছি জামায়াতের সাথে বিএনপির দূরত্বের কিছু নেই : নজরুল ইসলাম খান রাজধানী বদলাচ্ছে ইরান পুতিনের সাথে বৈঠকের প্রস্তুতি চলছে : ট্রাম্প গোপালগঞ্জে মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ২ শিক্ষার্থী নিহত

সকল